আলমগীর হোসেন
আমি মরে গেলে সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা জহিরুল হক রতন দায়ী থাকবে। তার সাথে আমার কোনো দ্বন্দ্ব নেই। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দল আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছে তাকে দেয়নি। আমি নির্বাচনে জয়ী হয়ে আমার মত কাজ করছি। হঠাৎ করে সে আবারো ষড়যন্ত্র শুরু করছে। ২৯ এপ্রিল ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে আমাকে গালিগালাজ করছে। হুমকি ধুমকি দিচ্ছে। আমাদের ৬নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ীতে লোকজন নিয়ে হুমকি দিচ্ছে।পরিষদের পাশে এসেও আমার নাম ধরে বিভিন্ন ভাবে গালিগালাজ করছে উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা জহিরুল হক রতন। আমাকে মাইনাস করার জন্যও রতন এগুলো করছে।সে যাতে খালি মাঠে গোল দিতে পারে। সম্প্রতি লক্ষীপুরে সাবেক ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে।আমিও তেমন আশংকায় আছি। শৃংখলা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আপনাদের সবাইকে জানিয়ে রাখছি। আমার যদি মৃত্যু হয় তবে তার জন্য দায়ী থাকবে উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা জহিরুল হক রতন।এবিষয়ে জহিরুল হক রতন বলেন,রাজনৈতিকভাবে ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে আমার কোনো দ্বন্দ্ব নেই। তাই সমর্থন করেই আমি নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছি। তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করে অজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছেন। আমি যদি তার বিরুদ্ধে এমন আচরণ করে থাকি তাহলে প্রমান দেখাক।এসময় তিনি আরো বলেন,বিগত নির্বাচনে আমার কারণে তাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।মানুষের ধারে ধারে যেতে হয়েছে তাই বিভিন্ন সময় তারই উসুল হিসেবে আমার উপর ক্ষেপে গিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করছেন।ইউপি চেয়ারম্যান এমএ হোসেন এ বিষয়ে বলেন, নিজের জীবনের নিরাপত্তা জন্য বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উপস্থাপন করেছি। উপজেলা আওয়ামীলীগকেও অবগত করেছি। জেলা আওয়ামিলীগের সাথে কথা বলে প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, মজলিশপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ হোসেন মুঠোফোনের মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, মজলিশপুরের চেয়ারম্যান নিজ দলীয় লোকের বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।তিনি নিরাপত্তাহীনতায় আছেন। বিষয়টি দুঃখজনক। আশাকরি দ্রুত সময়ে তারা সমাধান করবে। এছাড়াও লিখিত অভিযোগ করলে তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে ৩০ এপ্রিল আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন,ফেনী-৩ (সোনাগাজী-দাগনভূঞাঁ) আসনের সংসদ সদস্য লেঃ জেনারেল (অব) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী।বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন।এসময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রফেসর মফিজুল হক, সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাখাওয়াতুল হক বিটু, সোনাগাজী মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ খালেদ হোসেন দাইয়্যান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।