মোঃ রেজাউল করিমঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মনমথ গ্রামের ডাক্তার মোড়ে ২০মে/২০২৪ রবিবার সকাল ৮টায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
সাংবাদিকদের নিকট লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে,মোঃ শহিদুল ইসলাম প্রায় ২৫ বছর যাবৎ ক্রয় কৃত জমিতে ঘরবাড়ির দোকানপাট করে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন। কিন্তু প্রতিবেশী মৃতঃ হাবিজারের পুত্র মোঃ আমজাদ হোসেন শহিদুল ইসলামের ক্রয়কৃত জমিতে বসবাস করার পর থেকেই মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকিসহ বসতবাড়ি, দোকান ও পুকুরের পাড় কেটে নিয়ে বেদখলের চেষ্টা করলে ৯৯৯ এ ফোন করায় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা – মোঃ শহিদুল ইসলামকে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করার পরামর্শ দেন এবং বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে এ বিষয়টি তদন্তের দায়িত্বভার দেন। মোঃ শহিদুল ইসলাম তাদের পরামর্শ মোতাবেক এবিষয়ে সুন্দরগঞ্জ থানাকে অবগত করে ২৪-০১-২০২৪ তারিখে সাধারণ ডায়েরি করেন । যার নং-১১২০। এবং থানার সাধারণ ডায়েরি মূলে তদন্ত ভার বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে দায়িত্বভার পাওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তা সব তদন্ত করে এবং সমাধানের জন্য বিগত ১৩ -০৫-২৪ তারিখে দু’পক্ষের কাগজ পর্যালোচনা করে পুলিশ তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলামের পক্ষে রায় দেয় এবং জমি মাপার সিদ্ধান্ত দেন।পরবর্তীতে আমজাদ হোসেন গং এই সিদ্ধান্ত মানতে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন তালবাহানা দেখিয়ে সময় কালক্ষেপণ করে পরিকল্পিত ভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে পুনরায় জোর পূর্বক দখল করার চেষ্টা করে,পুকুরের পাড় কাটে,গাছ কাটে, আমার দোকানের ভাড়াটিয়াকে বিভিন্ন হুমকি দেয় ও দোকানের ঝাপ বন্ধ করতে বাধ্য করে এবং ১।মোঃ আমজাদ,পিতাঃ মৃতঃ হাবিজার,২।রশিদ, পিতাঃ খয়বর হোসেন,৩।মোঃ ছায়েদ,পিতাঃ মৃত- সালাম, ৪।মোঃ সোহেল রানা,পিতাঃ ছায়েদ, ৫।মোঃমোজাম্মেল হোসেন,পিতাঃ মৃতঃ সালাম মিয়া,৬।মোঃ বাবলু মিয়া,পিতাঃ মৃতঃ রিয়াজ উদ্দিন,৭।মোঃরবিউল ইসলাম, পিতাঃ আবু হানিফা,৮।মোঃকামরুজ্জামান( কামরুল),পিতাঃমৃত-মমতাজ(মোন্তা)৯।মোঃ রায়হান মিয়া,পিতাঃ মোঃরানু মিয়া,১০। মোছাঃ রেখা বেগম,পিতাঃমৃতঃহাবিজার, স্বামীঃ বাবলু মিয়া, ১১।মোছাঃরীনা বেগম, স্বামীঃ মোঃ মোস্তাফিজুর( মোস্তা) , ১২।মনজু বেগম,স্বামীঃ মিঠু প্রামাণিক,১৩।মোছাঃ জেলি বেগম,স্বামীঃ ছায়েদ,১৪। মোছাঃ রহিমা বেওয়া,স্বামীঃমৃত- হাবিজার,১৫। কহিনুর বেওয়া,স্বামীঃ মৃত-মমতাজসহ,আরও কয়েকজন মিলে মোঃ শহিদুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেধরম মারপিট করার এক পর্যায়ে তার ডাক চিৎকার শুনে স্ত্রী ও মেয়ে তাকে উদ্ধার করার জন্য আগাইয়া আসলে তাদেরকেও বেধরম মারপিট করার এক পর্যায়ে পুনরায় ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে করে এবং পুলিশ হেফাজতে তারা সুন্দরগঞ্জ স্ব্যস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা পরিবারের সকলেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুন্দরগঞ্জ স্ব্যস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মনমথ গ্রামের ডাক্তার মোড়ে সচেতন কিছু এলাকাবাসীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে নাম না জানাতে অনিচ্ছুক কিছু ব্যক্তি বলেন, মোঃ আমজাদ হোসেন সমাজের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত হয়ে সমাজের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছে। আমরা এলাকাবাসি মোঃ আমজাদকে আইন আদালতে যাওয়ার কথা বললে তারা প্রতিনিয়ত আমাদেরকেই গালিগালাজ করে।তারা লাঠির শক্তির কথা বলে,আর পুলিশ কর্মকর্তারা আসলেই বলে প্রশাসন নাকি রসগোল্লা খাইতে আসে।আইনের প্রতি এমন আচরণ আসলেই শোভনীয় নয়।তারা আইনকেও ভয় পায়না,তাই তাদের অপরাধ প্রবণতা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। আমারা মোঃ আমজাদ হোসেন গং দের শাস্তির দাবি জানাই।
এবিষয়ে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এবিষয়ে ভূক্তভোগী মোঃ শহিদুল ইসলামকে মুঠোফোনে জিঞ্জাসা করলে তিনি বলেন,আমাকে মারার জন্য তারা প্রতিনিয়ত চেষ্টায় আছে, আমি নিজের নিরাপত্তা সহ আমার পরিবারের সকল সদস্য হুমকির সম্মুখীন। আমি আমার পরিবারকে নিয়ে নিরাপত্তা হীনতায় ভুকছি। আমি আমার বসতবাড়ি ও পরিবারকে সন্ত্রাসী মোঃ আমজাদ হোসেন গং দের নিকট থেকে মুক্ত করে এবং দ্রুত এদের গ্ৰেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
Leave a Reply