ছাগলনাইয়া প্রতিনিধি:
ছাগলনাইয়া থানাধীন পাঠাননগর ইউনিয়নের মধ্যম বাথানিয়া গ্রামের জাফর আলী পাটোয়ারী বাড়ির মোঃ ইলিয়াছের মেয়ে মাহফুজা আক্তার (বয়স ১৬ বছর) এর সাথে একই ইউনিয়নের দক্ষিণ হরিপুর গ্রামের পরান কাজী বাড়ির ওবায়েদুল হক প্রকাশ মাদল মিয়ার পুত্র আরিফুর রহমান এর বাল্যবিবাহ অনুষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল)দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম কমলের নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোমেনা বেগম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করলে বিয়ের আসর থেকে বর ও কনে পালিয়ে যায়। এসময় বর ও কনের অভিভাবকরা উক্ত বিয়ের একটি নোটারী পাবলিক এভিডেভিড দেখায়।সেই নোটারীতে ৬ লক্ষ টাকা দেনমোহর এবং ১ লক্ষ টাকা উসুল সাব্যস্তে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় বলে উল্লেখ রয়েছে।নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন বিয়ের ক্ষেত্রে নোটারীর আইনগত ভিত্তি নেই। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হারিস মেম্বার বর কনের দায়িত্ব নিলে দুই ঘন্টার মধ্যে বর ও কনে সহ উভয় পক্ষের অভিভাবকদের উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে হাজির হতে নির্দেশ দেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোমেনা বেগম। এদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হারিছ আহমেদ বাল্যবিবাহকে উৎসাহিত করে বিভিন্ন কথা বার্তা বলেছেন অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই হারিস মেম্বারের সহযোগিতা অহরহ ঘটমান বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পাচ্ছে না শিশু কন্যারা। হারিস মেম্বারকেও আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা ।তবে হারিছ মেম্বার বাল্যবিবাহের বিপক্ষে রয়েছেন জানিয়ে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন।এদিকে বাল্যবিবাহ এর নোটারী পাবলিকের আইনজীবী এডভোকেট নজরুল ইসলাম মজুমদার জানান, নোটারী পাবলিকের আইনগত ভিত্তি নেই। কাবিন নামা ছাড়া বিয়ে বৈধ নয়। বর ও কনে, তাদের বিয়ে করার উপযুক্ত বয়স প্রমাণ করতে ব্যর্থ হলে কিছু করার নেই।
Leave a Reply