তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে প্রতারণার ধরন যেমন বদলেছে, বেড়েছে মাত্রাও। দেশে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে ভয়ংকর সব প্রতারণা হচ্ছে। বদলে যাচ্ছে প্রতারণার ধরনো। ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়া ও মোবাইল ফোনে ওতপেতে থাকা প্রতারকরা নানা কৌশলে সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। প্রতারকরা কখনো জিনের বাদশা সেজে, কখনো ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে প্রতারণা করছে। আবার কখনো ইউটিউবে ভিডিও শেয়ারিংসহ নানা কৌশলে প্রতারণা করা হচ্ছে। অনেকে সামাজিক অবস্থানের কথা চিন্তা করে থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করছেন না। ফলে অনেক ঘটনা থেকে যাচ্ছে অজানা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, অবস্থাটা এমন যেন প্রতি এক গজ দূরত্বে দাঁড়িয়ে আছে একেকজন প্রতারক। তারা বলছেন, এদের খপ্পর থেকে দূরে থাকার একমাত্র মাধ্যম সচেতনতা। পাশাপাশি লোভের ফাঁদে পা না দেওয়ারও পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।
কথিত জ্বীনের বাদশা ও বিভিন্ন ঝারফুক তান্ত্রিক দ্বারা নারী হয়রানি চরমে। প্রশাসন নীরব
ঢাকা সহ সারাদেশে বিভিন্ন মিডিয়া, পোষ্টার, লিফলেট ও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচারিত কথিত জ্বীনের বাদশা ও বিভিন্ন ঝারফুক তান্ত্রিক দ্বারা নারী হয়রানির অভিযোগ উঠেছে বলে জানা গেছে।
বিভিন্ন ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মিডিয়ায় প্রকাশিত একটি বিজ্ঞাপনে স্বামী-স্ত্রীর অমিল, নারী পুরুষের ২৪ ঘন্টার মধ্যে বশীকরণ, বিভিন্ন জাদু টোনা থেকে মুক্তি, ব্যাবসায়ী উন্নতি ও ক্ষয়ক্ষতি থেকে মুক্তি, নারী-পুরুষের শারীরিক দূর্বলতা ও কঠিন রোগ থেকে মুক্তিসহ বিভিন্ন লোভনীয় অফারে মোবাইল নাম্বার সহ প্রকাশিত হওয়া উক্ত নাম্বারে ফোন দিলে রোগীদের সমস্যা সমাধানের নামে বিভিন্ন কৌশলে যৌন হয়রানী মূলক কুপ্রস্তাব সহ মোটা অংকের টাকা দাবী করে জ্বীনের বাদশা খ্যাত মুফতি লেবাস ধারী রাহাত নোমানী।
উক্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একজন নারী সাংবাদিক রোগী সেজে ফোন দিলে কথিত জ্বীনের বাদশা খ্যাত তান্ত্রিক ফকির রাহাত নোমানী মোবাইল ফোন রিসিভ করেন এবং রোগীর সব বিবরণ শোনার পর রোগীকে সকল বিষয় থেকে মুক্ত করবেন বলে আশ্বস্ত করেন এবং তারপর থেকেই সেই কথিত জ্বীনের বাদশা খ্যাত রাহাত নোমানী মোবাইল ফোনে রোগী তথা নারী সাংবাদিককে রাত বারোটা সহ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে নানাবিধ যৌন হয়রানির কুপ্রস্তাব ও বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেন।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন ভুক্তভোগীর তথ্য মতে অনুসন্ধানে জানা গেছে কথিত জিনের বাদশা ও ঝাড়ফুঁক দেয়া তান্ত্রিক রাহাত নোমানী সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ও ইউটিউব ব্যবহার করে বিভিন্ন আকর্ষণীয় ধর্মীয় ভিডিও আপলোড করে মানুষকে আকৃষ্ট করে থাকেন, যেখানে তিনি নিজেকে একজন বড় মাপের মুফতি ও রুকুয়াহ বিষয়ে পিএইচডি ধারী হিসেবে পরিচয় দেন এবং উক্ত ভিডিও গুলোতে রাহাত নোমানী জীবনের সকল সমস্যা সমাধান কারী হিসেবে ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষের মনোকর্ষণ করে থাকে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে বিভিন্ন লোকের সঙ্গে ঝাড়ফুঁক দিয়ে ও মেয়েদেরকে বশ করে সে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডে ইতিপূর্বেও লিপ্ত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে সূত্রে জানা গেছে। আরো জানা যায় ইসলামী লেবাস ধারী এই রাহাত নোমানী জ্বীন ঘটিত সকল বিষয়ের সমাধান দেওয়ার নাম করে মেয়েদের যাদু টোনা করে বিপথে নিয়ে যায়। মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি কে কেন্দ্র করে তিনি অবলীলায় চালিয়ে যাচ্ছেন এই প্রতারণামূলক কর্মকান্ড এবং অসহায় অবলা নারীদের টার্গেট করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। তার এমন কান্ডে হতাশ হয়ে মানুষের ইসলাম বিমুখতা তৈরী হচ্ছে যা অত্যন্ত ঘৃণাজনক।
জ্বীনের বাদশা খ্যাত এই রাহাত নোমানী 01679-816790 নাম্বার ব্যবহার করে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।
এবং তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করছেন (Rahat Numani রাহাত নোমানী) নামে ফেসবুক আইডি।
এই ভন্ড অবৈধ জ্বীনের বাদশা তান্ত্রিক রাহাত নোমানীকে খুব শ্রীঘ্রই আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
Leave a Reply