দাগনভূঞার আলোচিত আবদুল গফুর হত্যা মামলায় দেড় মাসেও কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি।অব্যাহত হুমকি-ধমকির মুখে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার(১৬ জুলাই) দুপুরে ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন নিহতের ছোট ছেলে মামলার বাদি রিয়াদ হোসেন রাজু।লিখিত বক্তব্যে রাজু বলেন,মামলা দায়েরের পর প্রায় দেড় মাস অতিবাহিত হলেও অদ্যাবধি কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি।মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দিয়ে বাড়ির সামনে মহড়া দেয়।অজ্ঞাত ব্যক্তিরা অনেক সময় বাড়ির সামনে এসে বলে, ‘তোদের পিতাকে হত্যা করেছি তো কি হয়েছে, এবার তোদের পরিণতিও পিতার মতোই হবে।আসামীদের গ্রেফতার ও গফুর ভূঞা হত্যার বিচার দাবী করে বলেন, এমন পরিস্থিতিতে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।হুমকি-ধামকির বিষয়ে পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।এসময় সংবাদ সম্মেলনে বড় ছেলে রাকিব হোসেন,গফুরের বোন ছেমনা আক্তার ও বিবি রাবেয়া, ভাগ্নে ইয়াছিন আরাফাত উপস্থিত ছিলেন।গত ২৯ মে বুধবার পৌর শহরের হাসপাতাল রোডের ভূঞা ম্যানশন দখল করতে নারকীয় তান্ডব চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এসময় ক্যান্সার আক্রান্ত আবদুল গফুর ভূঞা হামলার শিকার হন।এরপর থেকে তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ১ জুন শনিবার ভোরে ঢাকায় নেয়ার সময় পথিমধ্যে তিনি মারা যান।এ ঘটনায় গফুর ভূঞার ছেলে রিয়াদ হোসেন রাজু বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জয়নাল আবদীন মামুনকে প্রধান আসামী করা হয়েছে।আসামীদের মধ্যে আমান উল্যাহপুর এলাকার নির্মল সাহার ছেলে দহন সাহা,রুহিনী সাহার ছেলে নির্মল সাহা ও চয়ন সাহা, জগতপুর এলাকার আবদুল ওহাবের ছেলে আইয়ুব আলী, কালা মিয়ার ছেলে ছেরাজুল হক প্রকাশ হকসাব ও রাজাপুর ইউনিয়নের আবদুল নবী গ্রামের খায়েজুল হকের ছেলে ইকবাল হোসেন রয়েছে।
Leave a Reply