নিজস্ব প্রতিনিধি
ফুলগাজী উপজেলা যুবলীগ সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের বালি উত্তোলনের ফলে ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফুলগাজী বাজার সংলগ্ন বিলোনীয়া রেললাইনের পাশে প্রভাবশালী এ দুই যুবলীগ নেতার বালি উত্তেলনে নদী গর্ভে বিলিন হতে যাচ্ছে ফুলগাজী বাজারের একাংশ।এই মুহুরী নদী মূলত ফুলগাজী বাজারের মধ্যখান ভেদ করে তার গন্তব্যস্থল ফেনী নদী হয়ে সাগরে পতিত হয়েছে।নদীর দুই পাড়ে গড়ে উঠেছে বানিজ্যিক বিভিন্ন স্থাপনা।দীর্ঘদিন ধরে এ স্থাপনার পাশে বালু উত্তোলন করায় নদীর তলা খুব গভীরে চলে যায়।ফলে হুমকির মুখে পড়ে এখানকার বিভিন্ন স্থাপনা।গত ২১ নভেম্বর মধ্যরাতে ভুক্তভোগীদের ফোন পেয়ে পরদিন সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ফুলগাজী বাজারের শ্রীপুর রোড়ে ফুলগাজী টু রাজষপুর সড়কের পাশে রেললাইনের পাশ ঘেষে মুহুরী নদীর বালু উত্তোলন করায় এখানকার প্রায় ২০টি দোকানঘরের বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে।ধসে পড়ে গেছে কয়েকটি দোকানসহ স্থাপনা।ফাটল দেখা দিয়েছে এলজিইডি সড়ক।এমন পরিস্থিতিতে বালু উত্তোলনের ঠিকাদারকে দোষারোপ করছে এখানকার ব্যবসায়ীরা।ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনার মালিক আনোয়ারুল আজিম সোহেল জানান,তার লিজকৃত এই স্থাপনার পাশে স্থানীয় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সালেহ আহম্মদ মিন্টু,সাধারন সম্পাদক একরাম পাটোয়ারী এবং সাবেক যুবলীগ নেতা সালাহ উদ্দিন ঝন্টুরা বালু উত্তোলনের ইজারা এনে নিয়মবহির্ভূত ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে নদীর তলা খুব গভীর করে ফেলে।এই গভীর খননের ফলে পাশের স্থাপনার মাটি সরে গিয়ে তার ১২টি দোকানঘরের ফাটল দেখা দিয়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনায় তার এই স্থাপনা বিলীন হয়ে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে তিনি দোষীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি করেন।ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনার আরেকজন মালিক আবদুল কুদ্দুস জানান, তার যৌথের জায়গায় চার সার্টারের দোকানঘরটি পুরোটাই ফাটল ধরে নদীতে চলে যাচ্ছে। তিনিও প্রশাসনের নিকট এর সঠিক বিচার দাবি করেছেন।সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সেলিম ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে তিনি বলেন, ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করায় স্থাপনাগুলো সহ সড়ক ব্যপক ক্ষতির সম্মুখীন।এই ড্রেজার এই নদীতে ব্যবহারের কোন অনুমোদন নেই। তিনি কর্তৃপক্ষকে বিষয়টির সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তানিয়া ভূঁইয়া বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। আগামিকাল সকালে বালু মহল কমিটির সদস্যদের নিয়ে জরুরী মিটিং-এ বসে সিন্ধান্ত নিবো।যদি তারা নিয়মবহির্ভূত বালু উত্তোলন করে, তাহলে আমি জেলা প্রশাসক বরাবর ইজারা বাতিলের প্রতিবেদন দাখিল করবো।এছাড়াও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে স্থাপনা রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো। উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ আসিফ মোহাম্মদ জানান,বিষয়টি তিনি অবগত হয়ে উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন।পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম বলেন, আগামিকাল বালু মহল কমিটির সদস্যদের সাথে আমরা বসবো।আর স্থাপনা রক্ষায় এই মুহুর্তে জরুরি কোন ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব নয়।
Leave a Reply