স্টাফ রিপোর্টার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে নির্বাচন কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রার্থীদের সঙ্গে বুধবার (২০ ডিসেম্বর) ফেনীর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।মতবিনিময় সভায় জেলার তিনটি সংসদীয় আসনে নির্বাচনে প্রতিবন্দ্বিতাকারী ২১ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। মতবিনিময় শেষে তিনি সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।আনিসুর রহমান বলেন,দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম সর্বোচ্চসংখ্যক বিদেশি পর্যবেক্ষক আসছে। যারা ভিসা ছাড়া পর্যবেক্ষণে আসবে তারা এলেই আমরা ভিসা দিয়ে দেব। দেশি অনেক পর্যবেক্ষকও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে।নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করছি। আগামী এক সপ্তাহে অনেক কিছুই ঘটবে। অপেক্ষা করুন। এবারের ভোটে সর্বোচ্চসংখ্যক বিদেশি পর্যবেক্ষক আসবে। কোনো সন্দেহ নেই,ভোট নিরপেক্ষ হবে।প্রার্থীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ভালো ভোট যদি আপনারা না করেন তাহলে আপনি হয়ত এমপি হবেন, সরকার গঠন করতে পারেন। কিন্তু ক্ষমতা পেয়ে কিছু করতে পারবেন না। কেননা বহির্বিশ্ব যদি আমাদের ওপর বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করে তাহলে আমরা কিন্তু কেউ সুখে থাকব না।তাই সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়ার ক্ষেত্রে সকল প্রার্থী কে সহযোগিতার আহবান করেন।এসময় ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার, পুলিশ সুপার জাকির হাসান, জেলা নির্বাচন অফিসার রেজাউল করিমসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান। প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেন, এ ভোট (নির্বাচন) শুধু আমরা ভালো বললেই হবে না। বহির্বিশ্ব আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। তাদেরকেও বলতে হবে একটি ভালো ভোট হয়েছে। ভোট ভালো না হলে ভবিষ্যৎও খুব একটা ভালো হবে না।২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ইসি আনিছুর রহমান বলেন, আমরা এবারই প্রথম নির্বাচনের দিন সকালে ব্যালট পেপার দিচ্ছি। এটারও নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে। আমরা যদি আগের মতো সেই অবস্থানে থাকতাম তাহলে এ কাজটি করতাম না। দুর্গম এলাকা বাদে সকাল ৮টার আগে সব কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। এতদিন আমরা বলে আসছি, কিন্তু এখন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন বলতে যা বুঝায় সেটি করতে নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত।আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সেনাবাহিনী, বিজিবিসহ সকল বাহিনী মাঠে থাকবে। সব জায়গায় নিরাপত্তা দেওয়া হবে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেটও তাদের সঙ্গে থাকবেন। পুলিশের পাশাপাশি এবার আনসার ব্যাটালিয়নও থাকবে। সবমিলিয়ে সারা দেশে ৭ লক্ষাধিক ফোর্স ভোটের মাঠে কাজ করবে।
Leave a Reply