স্টাফ রিপোর্টার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে ছাত্র নাগরিকের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।রবিবার বিকেলে শহরের শিল্পকলা একাডেমি হলে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হামযা মাহবুব এর সঞ্চােলনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল কাদের, তাসনিয়া নওরিন,আলী আহমেদ আরাফ, জিয়া উদ্দিন আয়ান,সুমাইয়া আক্তার,খালিদ হাসান, মো. মহিউদ্দিন ও মুহিদুল ইসলাম রিন্তু। এ সময় শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন শহীদ শ্রাবণের পিতা নেসার আহমদ এবং শহীদ কাওসারের ভাই।সভায় সমন্বয়করা বলেন, ‘আন্দোলনের মাধ্যমে যে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে তাদের ওপর আমাদের আস্থা রাখতে হবে। আমাদের কোনো দল নাই, আমাদের কোনো বিভেদ নাই, আমাদের একটাই দল- মানুষের দল। একটা সমতা ভিত্তিক সাম্যের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে আরও আন্দোলন করতে হলে আমরা আরও আন্দোলন করব।’
সভায় বক্তারা আরও বলেন, ‘আগে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে, তারপর দেশে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে। নির্বাচন হলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় না, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে প্রয়োজন জনগণের ম্যান্ডেট। যারা দেশে চাদাবাজি অরাজকতা করবে তাদের আপনারা জায়গা দেবেন না। শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। রাষ্ট্রের সংস্কারের জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। ফ্যাসিস্ট সরকারের এই সিস্টেম বদলাতে হবে।’এসময় বক্তারা মহিপালে গত ৪ আগস্ট নিজাম হাজারী ও তার দোসরদের হামলায় ছাত্র-জনতা হত্যার বিচার চান। এসব হত্যাকারীকে খুঁজে বের করে গ্রেপ্তার ও শাস্তি ফাঁসি নিশ্চিতের দাবি জানান। সেদিনের ঘটনায় নিজাম হাজারীর বাহিনীর হামলায় ১৪ জন নিহত হয়েছে। এটা ছিল ফ্যাসিবাদী ও নারকীয় হত্যাকাণ্ড। তারা ছিলো অত্যাধুনিক অস্ত্র সজ্জিত। অবিলম্বে তাদের যেন গ্রেপ্তার করা হয়।তারা আরও বলেন, বাংলাদেশ গত ১৫ বছরের বেশি সময় দিল্লির শাসনে চলেছে। স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা লাভ করেছে। তাই স্বাধীনতা যাতে হারিয়ে না যায় সেজন্য ছাত্রসমাজকে জাগ্রত থাকতে হবে।অনুষ্ঠান শেষে ফেনী জেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহত পরিবারের সঙ্গে দেখা করে খোঁজ নেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply