তানভীর চৌধুরী
মাসের ১৫ ই নবেম্বর দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পর সারাদেশে অফিস,আদালতে, হাটে বাজারে চায়ের দোকানে বইছে নির্বাচনী হাওয়।দেশের এক শ্রেণীর মানুষ যখন নির্বাচনের আমেজে ব্যস্ত ঠিক এই সময়টিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি দেশের সাধারণ মানুষের জনজীবন দুর্বিষহ করে তুলছে।এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ছে ক্ষেত-খামার, কলকারখানায় খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের ওপর।দ্রব্যমূল্য আওতার বাইরে চলে গেলেও শুধু দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষজন নয়,এর প্রভাব পড়ে মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চমধ্যবিত্ত শ্রেণী পর্যন্ত।সরেজমিনে ফেনীর দুটি বাজার পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, চিকন-মোটা চাল ভেদে দাম বেড়েছে।দাম বেড়েছে আটা,ময়দা,পেয়াজ,রসুন,আলু,আদাসহ বাজারের প্রায় সবগুলো ভোগ্য পণ্যের।এছাড়াও দাম বেড়েছে মাছ,মাংস সহ বাজারের বিভিন্ন শীতকালীন কাঁচা সবজির।ফেনী পৌর সুলতান মাহমুদ হকার্স মার্কেটের মুদির দোকানগুলোতে খোঁজ নিলে দেখা যায় গত কয়েক দিনে আটা ময়দাসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের মূল্য কেজি প্রতি ১০-১৫ টাকা করে বেড়েছে।এছাড়াও শিশু খাদ্যসহ মাছের খাদ্য,মুরগীর খাদ্য ইত্যাদির দাম অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়ছে।যার প্রভাব পড়ছে উৎপন্ন পণ্যে।পারিপার্শ্বিক দিকে লক্ষ করে ও ভোক্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায় বর্তমান বাজার পরিস্থিতি স্বল্প আয়ের মানুষের ধরা ছোঁয়ার বাইরে আর এর ভয়াবহতা ক্রমাগত বাড়েই চলেছে।উৎপাদক পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কৃষক যে পরিমাণ মূলধন নিয়ে দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদন করে তার চেয়ে ৪/৫ গুণ বেশি মূল্যে ক্রেতার কাছে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।এ ব্যাপারে বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান পাইকারি বিক্রেতার কাছ থেকে তাদের এই অধিক মূল্যেই পণ্য ক্রয় করতে হয়।পাইকারি বিক্রেতারা আবার এই ব্যাপারের দায়ভার চাপানোর চেষ্টা করছে পণ্যের পচনশীলতা আর জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির উপর।মুদি দোকানি মোঃ বাদশা বলেন,ক্রেতারা বাজারে এসে একটা পণ্য কিনলে আরেকটা পণ্য কিনতে পারছে না।বাজারে প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম। যার কারনে দোকানে আগের মত বেচা বিক্রি নেই।ফেনী সুলতান মাহমুদ পৌর হকার্স মার্কেটে সকালে বাজার করতে আসে এক ক্রেতা জানান,সরকার আছে নির্বাচন নিয়ে,বিরোধী দল আছে আন্দোলন নিয়ে,বাজারের প্রতি সরকারের কোনো নজরদারি নেই।যে যার মত করে প্রতিদিন জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে।আর এসবের যাতাকলে পিষ্ট হয়ে মরছি আমরা সাধারন জনসাধরন।
Leave a Reply