নিজস্ব প্রতিনিধি
ফেনী সদর উপজেলার ফতেহপুরে সামাজিকভাবে ব্যর্থ হয়ে পুকুর রক্ষায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ফেনী মডেল থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা ।সোমবার(১২ ফেব্রুয়ারী) সকালে ফতেহপুর গ্রামের মজুমদার পুকুর প্রকাশ মন্দারপুকুর ভরাট করে গাডোয়াল নির্মাণ সহ স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে কামাল উদ্দিন ও অন্যন্য শরীকদারের স্বাক্ষর সম্মিলিত একটি অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর জমা দেন। এ সময় তিনি জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট অভিযোগের প্রতিলিপি জমা দেন। এছাড়াও তিনি একই বিষয়ে ফেনী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন,তাদের পূর্বপুরুষের ২০০ বছরের পুরনো পুকুরটি ভরাট করে তাদের অপর অংশীদার কামরুজ্জামান ও তার সহযোগী আলমগীর হোসেন গার্ড ওয়াল নির্মাণ করছেন। কারো সাথে কোন প্রকার আলোচনা করা ছাড়া পুকুর ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণের ফলে এলাকার পরিবেশ বিনষ্ট হবে এবং স্থানীয় জনসাধারণের ভোগান্তি তৈরি হবে। এছাড়াও এই পুকুরের উপর নির্ভরশীল এলাকার আশপাশের লোকজন ছাড়াও পুকুরপাড়ে অবস্থিত মসজিদের মুসল্লিদের অজু করার একমাত্র অবলম্বন এই পুকুরটি। এই পুকুরটি ভরাটের ফলে মুসল্লিদের অজু করতে ভোগান্তিতে পড়তে হবে।এই বিষয়ে অভিযুক্ত কামরুজ্জামান জানান, পুকুরটি আলোচনা সাপেক্ষে যার যার অংশ বুঝিয়ে দিয়ে আমরা আমাদের অংশে কাজ করছি। এতে কারো কোনো ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। অপরদিকে পুকুরটিতে হ্যাচারী করছেন স্থানীয় আলমগীর হোসেন নামে এক ব্যক্তি। তিনি জানান,সাড়ে ২৯ শতক পুকুরের অংশ ক্রয় করেছে সেখানে একটি হ্যাচারী করছেন।এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ূন রশিদ জানান। এ ধরনের কোন অভিযোগ এখনো পর্যন্ত আমি হাতে পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।ফেনী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ও সেকেন্ড অফিসার ইমরান হোসেন জানান, পুকুর ভরাটের বিষয়ে একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি, বিষয়টি নিয়ে যেন শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্ন না হয় সে বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিব
Leave a Reply