নিজস্ব প্রতিনিধি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ফেনী পৌরসভা ভবনসহ বেশ কিছু স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার ১ মাস ১০ দিন পর পৌর ভবনে আগুন দেওয়া নিয়ে থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় পাঁচ হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।ফেনী পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম শাখাওয়াত উল্যাহ চৌধুরী বাদী হয়ে (১৪ সেপ্টেম্বর) শনিবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন।মামলার এজহারে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট সরকারঘোষিত সাধারণ ছুটি ছিল। ওই দিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন। এর পরপরই বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচ হাজার ব্যক্তি লাঠিসোঁটা, কুড়াল, করাত, আগ্নেয়াস্ত্র, লোহার রড, দেশীয় অস্ত্রসহ পৌরসভার গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেন।এছাড়া পৌরসভা ভবনের সামনে থাকা লাশবাহী ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্স ও পৌরসভার বেশ কয়েকটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়। এ সময় পৌরসভার কার্যালয়ের ভেতরে গুরুত্বপূর্ণ নথি, আসবাবপত্র, বৈদ্যুতিক পাখা, ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র, ফ্রিজ, এসি, আলমারি, কেবিনেট, ফগার মেশিন পুড়ে যায়। এ ঘটনায় ৫ কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭৫০ টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রুহুল আমিন মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ফেনী পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা অজ্ঞাতপরিচয় চার থেকে পাঁচ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত করে আসামিদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply