মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৭ অপরাহ্ন
এইমাত্র পাওয়া সংবাদ :
সারাদেশে হিটস্ট্রোকে ৭ জনের মৃত্যু । । তাপপ্রবাহের কারণে শুক্রবারের (২৬ এপ্রিল) সমাবেশ স্থগিত করেছে বিএনপি । । চট্টগ্রামে দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর প্রাণ নিল ঘাতক বাস । । ফেনীতে প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টার লোডশেডিংয়ে জনজীবনে ভোগান্তি । । পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ক্ষমতার পালা বদল । ।

গোবিন্দগঞ্জে টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রার্থীতা বাতিলের পাঁয়তারার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

  • আপডেট সময় : সোমবার, ৬ মার্চ, ২০২৩
  • ৪২১ বার পঠিত

গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বর্ধনকুঠি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহকারী যোগসাজসে আয়া পদে নিয়োগদানের আশ্বাসে পাঁচ লাখ টাকা অগ্রিম নিলেও নিয়োগ পরীক্ষার আগে প্রার্থীতা বাতিলের পাঁয়তারা করছে মর্মে প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ তুলেছেন ভূক্তভোগী খাদিজা বেগম।

সোমবার (৬ মার্চ) গোবিন্দগঞ্জ প্রেস ইউনিয়ন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ক্ষতিগ্রস্ত চাকরী প্রার্থী খাদিজা বেগম। তিনি উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জিরাই গ্রামের মো. রেজাউল করিমের স্ত্রী।
লিখিত বক্তব্যে খাদিজা বেগম জানান, গত ৬ জুলাই ২০২২ দৈনিক সমকাল পত্রিকায় বর্ধনকুঠি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পাশ যোগ্যতা সম্পন্ন আয়া পদে মহিলা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান মো. রেজাউল হক ও অফিস সহকারী আশরাফুল ইসলাম আমার স্বামীর পূর্ব পরিচিত হওয়ায় তাদের সাথে চাকরী পাওয়ার বিষয়টি আলোচনা হয়। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক অফিস সহকারীর মাধ্যমে গত ২০ আগস্ট ৪ লাখ এবং ১০ সেপ্টেম্বর ১ লাখ টাকা গ্রহণ করে। এসময় কথা হয় নিয়োগপত্র দেওয়ার সময় আরও তিন লাখ টাকা দিতে হবে।

আমার স্বামী বিভিন্ন স্থানে ধার-দেনা, মূল্যবান স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বিক্রি করে বিগত সময়ে ৫ লাখ টাকা পরিশোধ করে অবশিষ্ট ৩ লাখ টাকা সংগ্রহের চেষ্টা চলমান রাখে। বর্তমানে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অন্য প্রার্থীদের নিকট আরও বেশি টাকা চুক্তিতে চাকুরির আশ^াস দিয়ে আমার প্রার্থীতা বাতিলের চেষ্টা করে। গোপনে বিষয়টি অবগত হয়ে আমরা অফিস সহকারী ও প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করলে তারা আমাদের নিয়োগ দেই দিচ্ছি বলে কালক্ষেপণ করছে। আমরা গরীব অসহায় হওয়ায় উক্ত পদে চাকরি পেতে সর্বস্ব নষ্ট করেছি। চাকরিটি না পেলে আমারা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হব। তাই প্রতিকার পেতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমি উপজেলা পরিষদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপ-পরিচালক রংপুর বিভাগ, শিক্ষা সচিব, শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এদিকে সংবাদ সম্মেলনের বিষযটি সাংবাদিকরা প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল হক কে অবগত করে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি কারো কাছে টাকা গ্রহণ করিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো জনপ্রিয় সংবাদ সমূহ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত- 2024 এ ওয়েব সাইটে প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Design & Development By Hostitbd.Com