পরশুরাম প্রতিনিধি ঃ শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ঘোষিত সবার জন্য বাসস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘যার জমি আছে ঘর নাই, তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ আশ্রায়ণ-২ প্রকল্পের ঘর পেয়ে খুশিতে আতœহারা পরশুরাম উপজেলার ৮৪টি অসহায় পরিবার। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন -২ প্রকল্পে অধীনে প্রকল্প নির্মাণে ৮৪টি অসহায় পরিবারের জন্য ১ লক্ষ টাকা করে ৮৪ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়। এই প্রকল্পে হত দরিদ্র, অসহায়, পরিবার যার ১ থেকে ১০ শতাংশ জমি আছে কিন্তুু ঘর নেই তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ করে একটি ঘরের জন্য ভ্যাট ও ট্যাক্স ছাড়া প্রতিটি ঘরের জন্য ১লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। গৃহহারা মানুষের নতুন ঠিকানা মাথা গোঁছার ঠাঁই হিসেবে ১টি ঘর, ১টি বাথরুম পাওয়া যা হত দরিদ্র মানুষের কাছে সোনার হরিনের মত। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের দিয়ে জরিপ করে উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে ৮৪টি পরিবারকে গৃহ নির্মানের তালিকা তৈরি করা হয়। পরশুরাম উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কমিটি প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩/৪টি করে ঘর নির্মান করে দেয়া হয়েছে। অত্র এলাকার দীর্ঘ দিনের গরীব ও অসহায় মানুষের স্বপ্ন ছিল একটি ঘর পাওয়ার। গৃহ নির্মাণ করা হলে সহায় সম্বলহীন মানুষগুলো নতুন করে স্বপ্ন দেখে শুরু করে তার মনের মধ্যে ভাঙ্গা স্বপ্ন আবার জোড়া লাগে। ঘর নির্মাণে অনিয়ম ঠেকাতে ওয়াহিদুজ্জামান, জেলা প্রশাসক, ফেনী সার্বিক দিক নির্দেশনায় প্রতিটি ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি ও সদ্য বিদায়ী তার কর্মকালীন সময়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের সার্বক্ষনিক তদারকি করে পিআইসির মাধ্যমে যাবতীয় কার্যক্রম যথাসময়ে সম্পন্ন করে প্রতিটি পরিবারের নিকট ঘর বুঝে দেয়া হয়েছে এবং তারা নতুন গৃহে বসবাত করতে শুরু করছে । প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রতিটি ঘরগুলো দৈর্ঘ্য ১৫ফুট ও প্রস্থ ১৬ফুট করে নির্মান করা হয়। এসব ঘরের মেঝে পাকা, সামনে খোলা বারান্দা আরসিসি পিলার উন্নত টিনের বেড়ার ছাউনিতে ঘেরা। এর সঙ্গে একটু দূরে পয়নিস্কাশনের স্যানিটারী ল্যাট্রিন। সরজমিনে গিয়ে প্রতিটি ইউনিয়নের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই উপহার পেয়ে গরীব ও অসহায় পরিবারগুলো খুবই খুশী। তবে এদের একটি আশা ভবিষ্যতে যদি এই উপহারের সাথে একটি গভীর নলকূপ দেয়া হতো তাহলে তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আরো বেশি কৃতজ্ঞ থাকত। পরশুরাম উপজেলার ৩নং চিথলিয়া ইউনিয়নের বেলাল হোসেন বলেন দীর্ঘদিন পঙ্গু থাকার কারণে ছেলে সন্তান নিয়ে দিশেহারা ছিলাম। প্রধানমন্ত্রীর এই উপহার পেয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে অত্যন্ত খুশী। সালমা আক্তার, শেফালী আক্তার, নুর করিম, রহিমা বেগমসহ অনেকে জানান প্রধানমন্ত্রীর এই উপহার পেয়ে আমরা অত্যন্ত খুশী। ভবিষ্যতে তিনি আমাদের দিকে আরো সুনজর দিবেন এই প্রত্যাশা। আমরা তার দীর্ঘায়ু কামনা করি। তিনি যেন হাজার বছর আমাদের মাঝে বেঁচে থাকে।