নিজস্ব প্রতিনিধি:
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ফেনী জেলা শাখার উদ্যোগে দাওরায়ে হাদীস ও কামিল(মাস্টার্স) সম্পন্নকারী নবীন ওলামায়ে কেরামদের সম্মানে দস্তারবন্দী সম্মেলন-২০২৪ (২৪ এপ্রিল বুধবার) বিকালে শহরের মিড টাউন কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।দস্তারবন্দী সম্মেলনের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দারুল উলুম আল- হোসাঈনিয়া ওলামা বাজার মাদ্রাসার মুহতামিম ও শাইখুল হাদীস আল্লামা নুরুল ইসলাম আদীব।সংগঠনের জেলা সভাপতি এইচ এম নুরুজ্জামান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম,শায়েখে চরমোনাই। প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোল বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল বশর আজিজী ।বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রিয় সহ-সভাপতি আল্লামা ফরিদ উদ্দিন আল মোবারক ,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রিয় সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা নুরুল করিম আকরাম।প্রধান মেহমান আল্লামা নুরুল ইসলাম আদিব বলেন দস্তারবন্দী সম্মেলনে পাগডী বেঁধে দেয়ার মাধ্যমে নবীন ওলামাদের উপর সমাজের জিম্মাদারী অর্পন করা হচ্ছে, সমাজ হতে সর্বপ্রকার অনৈসলামিক অপতৎপরতা নির্মুলে ওলামাদেরকে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে,তিনি বলেন মুমিন মুসলমানকে সর্বাবস্থায় আল্লাহ তায়ালার বিধান মোতাবেক চলতে হবে।প্রধান অতিথি মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম তার আলোচনায় বলেন ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা হলে কেউ একা ক্ষুধার্ত থাকবেনা থাকলে সবাই থাকবে,কেউ একা কাঁদবেনা কাঁদলে সবাই কাঁদবে ,খেলে সবাই একসাথে খাবে, নিরপরাধী কারাবন্দি হতে হবে না ,কোন অপরাধী পারপেয়ে যেতে পারবেনা। সবার সুখে সুখী ও সবার দুঃখে দুঃখী হওয়া নেতৃত্ব চাইলে ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।তিনি নবীন ওলামায়ে কেরামকে হযরত ওমর রা. এর শাসনামলের কথা স্বরণ করিয়ে দিয়ে নবীন ওলামাদেরকে সৎ কাজের আদেশের পাশাপাশি সকল অসৎ ও অন্যায় কাজ নির্মুলে প্রতিবাদ-প্রতিরোধে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর আরও বলেন,মন্দিরে আগুন দেয়ার ঘটনা সমর্থন যোগ্য নয়।মন্দিরে আগুনের বিচার আমরাও চাই।কিন্তু যারা নিরীহ নিরাপরাধ দুই সহোদরসহ তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে ব্যর্থ হলে সারাদেশে প্রতিবাদের আগুন জ্বলে উঠবে। প্রধান বক্তা তার আলোচনায় বলেন একসময় মুসলমানরা বিশ্ব শাসন করেছিলো,কিন্তু মুসলমানরা তাদের গৌরবময় ইতিহাস ও ঐতিহ্য ভুলে থাকার কারনে আজ সমাজের নেতৃত্ব হতে অনেক দূরে ছিটকে পডেছে, হারানো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে তিনি সিরাত অধ্যায়নের প্রতি গুরুত্তারোপ করেন। সংগঠনের জেলা সাধারন সম্পাদক আবু বকর সিদ্দীক বিপ্লবী-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ফেনী জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার মহতামিম মাওলানা মোমিনুল হক জাদিদ,দারুল উলুম মহিউস্সুন্নাহ নুরপুরের মুতামিম মাওলানা নুরুল্লাহ, দাগনভূইয়া আশ্রাফুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি ইউসুফ কাসেমী,শর্শদি দারুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা ইসমাঈল হায়দার,জামেয়া সোলতানিয়া লালপোল মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা ক্বারী কাসেম,ধুমসাদ্দা রশিদিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি আব্দুল কাইয়ুম সোহাইল। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফেনী জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা নুরুল করিম,সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা গাজী এনামুল হক ভূঁইয়া,সহ-সভাপতি মাওলানা হাফেজ রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া,সেক্রেটারি আলহাজ্ব মাওলানা একরামুল হক ভূঁইয়া,বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি ফেনী জেলা সদর মাওলানা নুরুল করিম বেলালী,জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ ফেনী জেলা সাধারণ সম্পাদক শায়খুল হাদিস আল্লামা আব্দুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি ফেনী জেলার নায়েবে সদর মুফতি আব্দুর রহমান গিলমান, বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি ফেনী জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নাছির উদ্দিন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ ফেনী জেলা সভাপতি মাওলানা নুর মোহাম্মদ আজমী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফেনী জেলার ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আলা উদ্দিন সাবেরী,ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ফেনী জেলা সভাপতি মুফতি সালাহুদ্দিন আইয়ুবী।সম্মেলন শেষে প্রায় ২০০ নবীন আলেমকে দস্তারবন্দী করা হয়।
Leave a Reply