নিজস্ব প্রতিনিধি
ফেনীর ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. জামাল উদ্দিন মেম্বার কে চাঁদা না দেওয়ায়, কৃষক কানু মিয়া পিটিয়ে যখম।মঙ্গলবার(১৯ ডিসেম্বর) দুপুর বেলা ১.৩০ মিনিটের সময় ফুলগাজী পল্লীবিদুৎ অফিসের সামনে স-মিল এর পাশে, জামাল মেম্বারের উপস্থিতিতে এলোপাথাড়ি কৃষক কানু মিয়ার উপর হামলা হয়। হামলার এক পর্যায় কানু মিয়া অজ্ঞান হয়ে গেলে তাঁরা তাকে রাস্তায় রেখে চলে যায়। পরে কৃষক কানু মিয়ার জ্ঞান ফিরে আসার পার তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।যেহেতু সরকারি সোলার ডিপ সেলু মেশিন বসাতে বাঁধা ও চাঁদা দাবি করছে, তাই কৃষক কানু মিয়া প্রথমে ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া ভূঁইয়া কে জানালে সে ফুলগাজী থানায় অভিযোগ দিতে বলে। পরে তিনি ফুলগাজী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, কানু মিয়ার বাড়িতে সরকারি বড় একটি সোলার সিস্টেম ডিপ সেলু মেশিন বসানো হয়। এই মেশিনের পাইপ টানতে গেলে জামাল মেম্বার প্রথমে বাঁধা প্রদান করেন। তাঁর কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন, চাঁদা না দিলে প্রকাশ্যে কৃষক কানু মিয়াকে পিটিয়ে মারার হুমকি দেন। আজকে ও চাঁদা দাবি করলে কানু মিয়া চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানান, তিনি বলেন সরকারি প্রকল্প আমি কোন ধরনের চাঁদা দেবো না, চাঁদা না দেওয়ায় মেম্বার তাঁর লোকজন কে পাঠিয়ে কৃষক কানু মিয়ার উপর হামলা করে। এঘটনায় মো.জামাল উদ্দিন মেম্বার কে প্রধান আসামি করে, ফুলগাজী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন কানু মিয়া।এ বিষয়ে আহত কানু মিয়া(৫৫)এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তাকে সরকারি সোলার সিস্টেম ডিপ মেশিন প্রায় ৪৪ লক্ষ টাকা দামের একটি ডিপ মেশিন বসানোর জন্য দিয়েছে সরকার। সেই ডিপ মেশিনটি তার বাড়িতে বসালেও সেচ কাজে ব্যবহার করার জন্য বিভিন্ন স্থানে পাইপলাইন টানতে হচ্ছে, মেম্বার জামাল উদ্দিন প্রথমে তাকে পাইপ লাইন টানতে বাঁধা প্রদান করে। এরপর তার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালেও তার কাছে ফোন করে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা চায় ছেলে পেলেদের জন্য। চাঁদা দিতেও স্বীকৃতি জানালে কৃষক কানু মিয়ার উপর চটে যান মেম্বার নিজেই। পরে দুপুরে ফুলগাজী পল্লী বিদ্যুৎ সংলগ্ন স মিল এর সাথে জামাল মেম্বারের উপস্থিতিতে মেম্বারের সাথে থাকা লোকজন কানু মিয়াকে পিটিয়ে গুরুতর যখম করে। একপর্যায়ে আঘাত কারণে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তারা তাকে রেখে পালিয়ে যায়।এ বিষয়ে ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ জামাল উদ্দিন মেম্বার এর কাছে, তার মুঠোফোনে কল দিয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করে, এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে ফোন কেটে দেন। পরবর্তীতে আবারো তাকে তার এই নাম্বারে ০১৯১৫-৩৯২৫৬১. ফোন করা হলে সে ফোন রিসিভ করে না। ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, মারামারি হয়েছে ঘটনাটি সত্য, তবে দুই পক্ষের মাঝে ঘুষাঘুষি হয়েছে,তাই একজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঋন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মারামারি হয়েছে, তবে চাঁদা বাজি করছে এ বিষয়টি সত্যতা পাওয়া যায় নি।
Leave a Reply