তানভীর চৌধুরী
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার ২নং মুন্সিরহাট ইউনিয়নের আওতাধীন পৈথারা,ফকিরের খিল, কামাল্লা,বদরপুর, জামমুড়ার ভারত সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষেরা ভারত থেকে নেমে আসা কয়েক কহাজার বানরের জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।ত্রিপুরা রাজ্যের একজনের সাথে কথা বলে জানা যায় ভারতের বনাঞ্চলে পর্যাপ্ত খাবার না থাকায় খাবারের খোঁজে বানরের দল সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে দল বেঁধে ছুটে আসছে লোকালয়ে। হানা দিচ্ছে ফসলের খেতে ও ফলের বাগানে।ফলে এসব এলাকার প্রান্তিক কৃষকেরা বানরের হাত থেকে রক্ষা করতে পারছে না,আলু, বেগুন,বরবটি, সিমসহ বিভিন্ন সবজির বাগান।স্থানীয় বলছে, ভারতের অন্য রাজ্যে বানরের উৎপাত বেড়ে যাওয়ায়,ভারতের সীমান্তরক্ষী বিএসএফ কয়েক হাজার বানর এনে ত্রিপুরা রাজ্যের বনাঞ্চলে অবমুক্ত করে। সেই বানরগুলোই বনাঞ্চলে খাবার না পেয়ে দলে দলে ছুটি আসছে লোকালয়ে।প্রতিদিন বানরগুলো দুই-তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে দিনে দুইবার সময় করে হানা দেয় স্থানীয় কৃষকের আম,কাঁঠাল,সবজির বাগানসহ শস্যখেতে।বাড়িতে ঢুকে খেয়ে ফেলছে এলাকাবাসীর রান্না করা খাবার।স্থানীয় জনপ্রতিনিধি শাহাদাত হোসেন জানা,গেল দু-তিন মাস ধরে ভারত থেকে নেমে আসা বানরের অত্যাচারে অতিষ্ট এখানকার স্থানীয় বাসিন্দা এবং কৃষকেরা।বানরগুলোকে বাংলাদেশ থেকে তাড়ানোর জন্য বন বিভাগের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।স্থানীয় কৃষক আব্দুল মুনাফ বলেন,প্রতিদিন ভারত থেকে ঝাকে ঝাকে মানুষগুলো নেমে এসে,আমাদের ফসলে জমি,বিভিন্ন সবজির বাগান নষ্ট করছে। বানরগুলোকে তাড়ালেও যায় না।বানরের হাত থেকে ফসল রক্ষা করতে এখন চব্বিশ ঘন্টা আমাদেরকে ফসলের মাঠে থাকতে হচ্ছে।বনবিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র ভৌমিক জানান,যেহেতু এরা নিরীহ প্রাণী এদেরকে মারা যাবে না।আগুন জ্বালিয়ে ধোঁয়া দেখিয়ে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে বানরগুলোকে তাড়াতে হবে।সীমান্তবর্তী এলাকায় আমরা লোক পাঠাবো এ বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করার চেষ্টা করবো।সীমান্তবর্তী এলাকার এ সমস্ত প্রান্তিক কৃষকেরা বানরের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে বন বিভাগের সহযোগিতা কামনা করছে।সচেতন মহল বলছে বন বিভাগ সঠিক উদ্যোগ নিলে, হয়তো বানরের উৎপাত থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাবে স্থানীয় কৃষকেরা।
Leave a Reply