ফেনীতে ৭ অপহরণ কারীকে আটক ও অপহৃত ব্যাক্তিকে উদ্ধার করেছে র্যাব।জানা যায় বুধবার রাত ১০ টায় ফেনী সদর উপজেলার মাথিয়ারা গ্রামের রফিকুল ইসলাম (২৮) মহিপালস্থ হাজী নজির আহম্মদ সিএনজি ফিলিং স্টেশনের ডিউটি করা আবস্থায় অপহরণ কারী জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ৭ জনের একটি টিম রফিকুল ইসলামকে জোর করে সিএনজিতে তুলে অপহরণ অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এবং অপহৃত ব্যাক্তির পরিবারের কাছে ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবী করে, অন্যথায় ভিকটিম রফিকুল ইসলাম কে হত্যা করার হুমকি দেয়।বিষয়টি ভিকটিম সিএনজি পাম্পের মালিকের মোবাইল ফোনে জানালে তাৎক্ষণিকভাবে পাম্পের মালিক তার ম্যানেজারের মাধ্যমে ভিকটিমের ভাইকে অবহিত করেন।পরবর্তীতে ভিকটিমের ভাই তাজুল ইসলাম ভিকটিম রফিকুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে অপহরণকারী মোঃ জাহিদুল ইসলামের দেয়া বিকাশ নম্বরে মুক্তিপণের ৪০ হাজার টাকা দ্রুত পাঠাতে বলে। কিন্তু রাত গভীর হওয়ায় বিকাশের দোকান বন্ধ থাকায় মুক্তিপণের টাকা পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না জানতে পারলে অপহরণকারী মোঃ জাহিদুল ইসলাম মহিপালের পাশে একটি বাড়ীতে মুক্তিপণের টাকা পৌঁছে দিতে বলা হয়।উক্ত অপহরণের বিষয়টি ভিকটিমের ভাই তাৎক্ষণিকভাবে র্যাব-৭, ফেনী ক্যাম্প জানালে র্যাব-৭, ফেনীর একটি চৌকস আভিযানিক দল শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিমকে জীবিত উদ্ধার অপহরণের মূলহোতা ফেনী মাস্টার পাড়া এলাকার আবু তৈয়বের ছেলে মোঃ জাহিদুল ইসলাম (২৭), ১৪ গ্রাম উপজেলার জালাল উদ্দিনের ছেলে মোঃ শরফুদ্দীন (২৭), মো: লোকমানের ছেলে মো: মনিরুজ্জামান মিলন (৩৫) মুরাদনগর থানার আবদু রহিমের ছেলে মোঃ ফয়সাল (২৫), ছাগলনাইয়া উপজেলার মো: আলমের ছেলে মোঃ সোহাগ (১৯), রায়পুর উপজেলার তসলিম উদ্দিনের ছেলে মোঃ সোলেমান হোসেন তামিম (২৫), চরব্বার উপজেলার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মোঃ মিরাজ (২৯) কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের দেহ তল্লাশি করে তাদের নিকট থেকে ৫টি বিভিন্ন সাইজের চাকু উদ্ধার এবং অপহরণের কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি জব্দ করা হয়।গ্রেফতারকৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পরস্পর যোগসাজশে ৪০ হাজার টাকার জন্য ভিকটিম রফিকুল ইসলামকে অপহরণ করে মর্মে স্বীকার করে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের ভাই তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ফেনী ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতার কৃত অপহরনকারী কে ফেনী মড়েল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply