মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন
এইমাত্র পাওয়া সংবাদ :
ফেনীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রে জালভোট দেওয়ায় সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা প্রত্যাহার ও পোলিং কর্মকর্তা সহ আটক ১৪ জন । ফেনীর সোনাগাজীতে সিল মারা ব্যালট সহ ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যমে দেয়া ইয়াকুব আলী আটক । । ফেনীর ফুলগাজীতে ভারতীয় উজানের ঢলে বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে মুহুরী নদীর পানি । । বাংলাদেশের ঘূর্ণিঝড় রেমালে নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করেছে ফ্রান্স । । দিল্লিতে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৫০ ডিগ্রি রেকর্ড হওয়ায় ভারতে 'তাপপ্রবাহ সতর্কতা' জারি । ।
ব্রেকিং নিউজ :
ফেনীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ শিল্প মালিকদের সংবাদ সম্মেলন অতি উৎসাহি পুলিশ সদস্য দিয়ে সকলকে মূল্যায়ন করা যাবে না-ছাগলনাইয়ায় ডিআইজি “রাষ্ট্র সংস্কার ও রাজনৈতিক করণীয়” ফেনীতে সীমান্ত এলাকায় অভিযানে পৌনে ২ কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ ২৮ অক্টোবর পল্টন ট্রাজেডি দিবস উপলক্ষে ফেনীতে জামায়াতের আলোচনা সভা ও চিত্র প্রদর্শনী টেলিটকের ‘জেন-জি’ সিম বিক্রির নতুন সিদ্ধান্ত স্টার লাইন বাস কাউন্টারের আড়ালে মাদক ব্যবসার অভিযোগে ম্যানেজার গ্রেফতার বন্যা প্রতিকারে এবি পার্টি ফেনী জেলার মানববন্ধন অনুষ্ঠিত ও ৮ দফা দাবি পেশ ফেনীতে বিভিন্ন পেশার লোক জনের এবি পার্টিতে যোগদান ফেনীতে অপহৃত ব্যাক্তি উদ্ধার এবং ৭ অপহরনকারী র‌্যাবের হাতে আটক

“রাষ্ট্র সংস্কার ও রাজনৈতিক করণীয়”

  • আপডেট সময় : শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৩ বার পঠিত

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
প্রিয় সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ আসসালামু আলাইকুম।
বাংলাদেশ শান্তির দল কর্তৃক আয়োজিত “রাষ্ট্র সংস্কার ও রাজনৈতিক করণীয়” শীর্ষক আজকের এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত সকলকে বাংলাদেশ শান্তির দলের পক্ষ থেকে আমি শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানাই। সেই সাথে জুলাই, ২০২৪ এর ছাত্র-জনতার মহান বিল্পবকে আমরা স্বাগত জানাই এবং এই বিপ্লবের সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি ও আহতদের সুচিকিৎসাক্রমে আশু আরোগ্য কামনা করি। এছাড়াও ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
আজকের সাংবাদিক সম্মেলনের বিষয়বস্তু “রাষ্ট্র সংস্কার ও রাজনৈতিক করণীয়” বিষয়ে বাংলাদেশ শান্তির দলের অভিমত ও বক্তব্য হলো যে, ১৯৭১ এর স্বাধীনতার পর থেকে অদ্য ৫৩ বৎসর পর্যন্ত বাংলাদেশে রাজনীতি ও সরকার পরিচালনায় ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনা ও প্রত্যাশা পূরণ করতে সকল সরকার ব্যর্থ হয়েছে। ব্যর্থতার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ বিশ্বে পর পর পাঁচ বার ১ নম্বর দূর্নীতিগ্রস্থ দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এবং আজও বিশ্বে ১৩ তম দূর্নীতিগ্রস্থ দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। সরকারী প্রশাসনিক কর্মকান্ডে ও বিচার ব্যবস্থায়, ব্যাপক হারে দূর্নীতি ও ঘুষ গ্রহণ, সরকারী চাকুরী প্রদানে অসহনীয় পর্যায়ে নিয়োগ বাণিজ্য ও ঘুষ গ্রহণ, বিদেশে কয়েক লক্ষ হাজার কোটি টাকা পাচার, জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ গ্রহণের নামে ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ, ব্যাপক হারে চাঁদাবাজী, ভূমিদস্যূতা, লক্ষ লক্ষ নারী শিশু বিদেশে পাচার, সর্বগ্রাসী মাদক আগ্রাসণ, গুম, খুন, রাজনৈতিক হাজার হাজার মিথ্যা মামলা, আয়না ঘর কেলেঙ্কারী সহ এমন কোন অন্যায় ও অপরাধ নাই যা এদেশে সরকার ও সরকার পরিচালনাকারী রাজনৈতিক দল সমূহ সংঘটিত করে নাই, তারই কারণে বিভিন্ন সময়ে এদেশে অনেকবার বড় বড় গণ আন্দোলন ও গণঅভ্যূত্থান ঘটেছে এবং বিগত ৫৩ বছরের পুঞ্জিভূত সকল প্রকার অন্যায়-অবিচার, বৈষম্য, দুর্নীতি ও দুস্কর্মের কারণে একটি ব্যাপক গণভিত্তিক বিপ্লব জাতীয় জীবনে একান্ত অনিবার্য হয়ে পড়েছিল। তাই “অনিবার্যতার সার্বজনীন নিয়ম” এর কারণে মাটি ফুড়ে বের হওয়ার মতো ছাত্র-জনতার নজীরবিহীন অংশ গ্রহণে জুলাই’ ২৪ এর এই মহান বিল্পব সংঘটিত হয়। আপনারা অবগত আছেন যে, স্বাধীনতার পর থেকে এপর্যন্ত বিগত ৫৩ বছরে রাজনৈতিক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনে কখনো একবারের জন্যও সংশ্লিষ্ট সরকারী দল ব্যতীত অন্য কোন দল নির্বাচনে জয় লাভ করে সরকার গঠন করতে পারে নাই। শুধু এই একটি উপমা নিঃসন্দেহে প্রমাণ করে যে বাংলাদেশে অদ্যাবধি নূন্যতম গণতন্ত্র ও ভোট ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। ফলে বাংলাদেশে আইনের শাসন, সুশাসন, সুবিচার, সুনীতি, সুষম বন্টন তথা কাঙ্খিত শান্তি প্রতিষ্ঠা হয় নাই এবং এই কারণে জাতীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যাশা অর্থনৈতিক মুক্তি ও আইন শৃঙ্খলাজনিত নিরাপত্তা আজও অর্জিত হয় নাই। এই গভীর দুরাবস্থা থেকে দেশ ও জাতীকে মুক্ত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ শান্তির দখল কর্তৃক নিম্নে “রাষ্ট্র সংস্কার ও রাজনৈতিক করণীয়” বিষয়ে কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচী ও প্রস্তাবনা জাতীর নিকট উপস্থাপন করা হল।
১। মানসম্পন্ন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ঃ
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ৫৩ বছরেও বাংলাদেশে সুষ্ঠ রাজনীতি ও নিরপেক্ষ ভোট ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। তাই দেশে আইনের শাসনের পরিবর্তে নৈরাজ্য ও স্বৈরতান্ত্রিক একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
(ক) আজ দীর্ঘ বছর যাবৎ বাংলাদেশের রাজনীতিতে দল সমূহের মধ্যে সুশীল গণতান্ত্রিক চর্চা ব্যাপক হারে বিঘ্নিত হচ্ছে। দল সমূহ পরস্পরকে বছর জুরে শক্তি প্রদর্শন ও রাজপথ দখলে রাখার হুমকি প্রদর্শন করে থাকে। বিষয়টি এমন যেন শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করা যায়। একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে এ অবস্থা মেনে নেওয়া যায় না। তাই রাজনীতিতে শক্তি প্রদর্শনের কথা ও কাজ সুনির্দিষ্টভাবে প্রতিহত করার জন্য প্রয়োজনীয় বিধি-বিধান নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রণয়ন করতে হবে এবং এবিষয়ে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক বছরে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে।
(খ) নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও আইন প্রণয়ন করতে হবে এবং এক্ষেত্রে দল নিরপেক্ষ, সৎ ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিবর্গকে নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিয়োগ দিতে হবে।
(গ) নির্বাচনে ভোট গণনার ক্ষেত্রে বিশ্বের সভ্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ই.ভি.এম. পদ্ধতি বাতিল করতে হবে।
(ঘ) সকল দল ও ব্যক্তির জাতীয় নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সাংবিধানিক অধিকার সমুন্নত রাখার জন্য ২০০৮ সালের রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের কাল আইন বাতিল করতে হবে। তবে বাস্তব প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল সমূহের নাম ও ঠিকানাযুক্ত একটি রেজিষ্ট্রার, গঠনতন্ত্র ও কেন্দ্রীয় কমিটির একটি লিষ্ট সংরক্ষণ করবেন।
(ঙ) সুষ্ঠ নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচনকালীন একটি দল নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে।
(চ) সকল পর্যায়ের স্থানীয় সরকার নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে করতে হবে।
২। রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন ঃ
দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধনক্রমে প্রধানমন্ত্রী শাসিত সরকার ব্যবস্থা বাতিলক্রমে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে।
৩। জীবন ধারণের মৌলিক উপকরণের নিশ্চয়তা ঃ
বাংলাদেশের জনগণের জন্য অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিৎসা সহ জীবনের মৌলিক উপকরণ সমূহের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। উন্নত দেশের ন্যায় বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে সামাজিক নিরাপত্তা গড়ার লক্ষ্যে সরকারী, বেসরকার চাকুরীজীবিদের মাসিক বেতন থেকে এবং ব্যবসায়ীদের আয় থেকে শতকরা ৫/- টাকা হারে কর্তন করে ব্যাপক ভিত্তিক সামাজিক নিরাপত্তা ফান্ড গঠন করতে হবে এবং বাংলাদেশকে জনকল্যাণকর মানবিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে।
৪। সুশাসন/আইনের শাসন ঃ
(ক) জণ প্রশাসন কমিশন ঃ সুশাসন তথা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জণপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও তার অধীনস্থ বিভাগ সমূহের কার্য সুষ্ঠ তদারকী ও নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি স্থায়ী জণপ্রশাসন কমিশন গঠন করতে হবে।
(খ) পুলিশ কমিশন ঃ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ বিভাগের কার্য সুষ্ঠ তদারকী ও নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি স্থায়ী পুলিশ কমিশন গঠন করতে হবে।
(গ) অর্থ কমিশন ঃ অর্থ মন্ত্রণালয় আওতাধীন সমস্ত ব্যাংক, রাজস্ব বোর্ড ও বোর্ডের আওতাধীন ইনকাম ট্যাক্স বিভাগ, শুল্ক বিভাগ ইত্যাদির কার্যক্রম সুষ্ঠ তদারকী ও নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি স্থায়ী অর্থ কমিশন গঠন করতে হবে।
(ঘ) ভূমি কমিশন ঃ ভূমি মন্ত্রণালয়ে তার অধীনস্থ সহকারী কমিশনার (ভূমি) হতে শুরু করে ভূমি বোর্ড পর্যন্ত সকল পর্যায়ের কাজের এবং সাব-রেজিষ্ট্রার ও জেলা রেজিষ্ট্রারের কার্যের সুষ্ঠ তদারকী ও নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি স্থায়ী ভূমি কমিশন গঠন করতে হবে।
(ঙ) উন্নয়ন কমিশন ঃ সরকারের পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্টের চীফ ইঞ্জিনিয়ার ও তার অধস্থন অফিস সমূহ, রোড এন্ড হাইওয়েজ ডিপার্টমেন্টের চীফ ইঞ্জিনিয়ার ও তার অধস্থন অফিস সমূহ, এল.জি.ই,ডি এর চীফ ইঞ্জিনিয়ার ও তার অধস্থন অফিস সমূহ ইত্যাদি সহ উন্নয়নের জন্য সকল ইঞ্জিনিয়ারিং অফিসের কার্যের সুষ্ঠ তদারকী ও নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি স্থায়ী উন্নয়ন কমিশন গঠন করতে হবে।
(চ) স্বাস্থ্য কমিশন ঃ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও তার অর্ধস্থন সকল বিভাগ, অধিদপ্তর, সরকারী ও বেসরকারী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ডায়গনষ্টিক সেন্টার, ডাক্তারের ফি, মেডিকেল টেষ্টের ফি নির্ধারণ ও ঔষধ প্রশাসন ইত্যাদির কার্যের সুষ্ঠ তদারকী ও নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি স্থায়ী স্বাস্থ্য কমিশন গঠন করতে হবে।
(ছ) শিক্ষা কমিশন ঃ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অধিদপ্তর ও অফিস সমূহের কার্যের সুষ্ঠরূপে তদারকী ও নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠন করতে হবে।
(জ) দুর্নীতি দমন কমিশন ঃ বাংলাদেশে বর্তমানে যে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্মরত আছে তা আরো অধিকতর কার্যকর করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট আইনের প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে এবং কমিশনার বৃন্দের নিয়োগের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
৫। বিচার ব্যবস্থা সংস্কার ও সুবিচার প্রতিষ্ঠা ঃ
(ক) বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথকীকরণের জন্য বিখ্যাত মাজদার হোসেন মামলার রায় কার্যকর করে একটি পৃথক সুপ্রীম কোর্ট সচিবালয় গঠন পূর্বক বিচারকদের নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বভার আইন মন্ত্রণালয় হতে সুপ্রীম কোর্টের হাতে ন্যাস্ত করতে হবে।
(খ) জণগনের জন্য ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার ক্ষেত্রে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগনকে নির্বাহী আদেশে আইন বহির্ভূতভাবে যে অতিরিক্ত অসঙ্গত ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে তা বাতিলক্রমে যথাযথ আইন প্রণয়ন করতে হবে।
(গ) মামলার অধিকতর জট নিরসণের জন্য সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতিবৃন্দের অবকাশকালীন দীর্ঘ ছুটির ব্যবস্থা বাতিল করে অধস্থন আদালতের বিচারকদের ন্যায় বছরে ডিসেম্বর মাসে ১ মাস ছুটি প্রদানের আইন প্রণয়ন করতে হবে।
(ঘ) সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতিবৃন্দের অবসরে যাওয়ার পূর্বে তাদের উপর ন্যাস্ত সকল রায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রদানের জন্য সুনির্দিষ্ট আইনী ব্যবস্থা থাকতে হবে।
(ঙ) বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কর্তৃক শিক্ষানবীশ আইনজীবীবৃন্দকে এম.বি.বি.এস ও অন্যান্য পেশাজীবিদের ন্যায় শুধু ভাইবা পরীক্ষার মাধ্যমে শতভাগ ক্ষেত্রে এ্যাডভোকেটশীপ সনদ প্রদান করতে হবে।
৬। সুষ্ঠ পুলিশিং ব্যবস্থা প্রবর্তন ঃ
(ক) ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনক্রমে উচ্চহারে অস্বাভাবিক জরিমানার বিধান পরিবর্তন করে অবস্থা ভেদে উক্ত জরিমানা ২০০/ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০০/- টাকার মধ্যে রাখতে হবে।
(খ) ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃক যানবাহনের উপর টার্গেট জনিত মামলা করার প্রথা ও রেকার জনিত জরিমানার বিধান বাতিল করতে হবে।
(গ) সরকার তথা পুলিশ কর্তৃক সরকারী কাজের নামে ব্যক্তি মালিকানাধীন যানবাহন রিকুইজিশন করার বিধান বাতিল করতে হবে। সেক্ষেত্রে সরকার জরুরী কাজে যানবাহন ভাড়া প্রদানক্রমে সংগ্রহ করবে।
(ঘ) আসামী রিমান্ডে নেওয়ার আইন সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক প্রদত্ত সংশ্লিষট রায়ের আলোকে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
(ঙ) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক তদন্তের ক্ষেত্রে এবং সাধারন আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কার্যের ক্ষেত্রে পুলিশের জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে।
৭। জণগনের মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণ ঃ
জণগণের মধ্যে সৃষ্ঠ অধিকতর সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণের জন্য জাতীয় বেতন স্কেলের ২০টি স্তরকে কমিয়ে পূর্বের ন্যায় ১০টি স্তরে আনয়ন করতে হবে। অধিক আয়/অধিক মুনাফার ক্ষেত্রে উন্নত দেশের ন্যায় আনুপাতিক হারে বাড়তি আয় কর আদায় পূর্বক উন্নয়ন, মানবিক সেবা ও সামাজিক নিরাপত্তা প্রদানক্রমে ধনী ও দরিদ্রের বৈষম্য নিরষন করতে হবে।
৮। বেকারত্ব দূরীকরণ ও নূতন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ঃ
কর্ম সংস্থান সৃষ্টি ও বেকারত্ব দূরীকরণের জন্য সাধারন শিক্ষার পাশাপাশি কর্মমূখী ও কারিগরী শিক্ষা বাড়াতে হবে এবং দেশে বিদেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে।
৯। দুর্নীতি, ঘুষ, ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ, বিদেশে টাকা পাচার, মাদক আগ্রাসণ, চাঁদাবাজী, ভূমিদস্যুতা, খাদ্যে ভেজাল মিশ্রণ, বাজার সিন্ডিকেট, মজুতদারী ও দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ ও নিরোধ ঃ
বাংলাদেশ শান্তির দল ন্যায়ের আদেশ ও অন্যায়ের নিষেধের মাধ্যমে সত্য প্রতিষ্ঠাক্রমে মিথ্যা দূরীভূত করতঃ রাষ্ট্রীয় আইনের আলোকে জণগনকে সংগঠিত করে সমগ্র বাংলাদেশে সমন্বিত এক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে বাংলাদেশ হতে দুর্নীতি, ঘুষ, ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ, বিদেশে টাকা পাচার, মাদক আগ্রাসণ, চাঁদাবাজী, ভূমিদস্যুতা, খাদ্যে ভেজাল, মজুতদারী ও দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধিসহ সকল অন্যায় ও অপরাধ সমূহের নিয়ন্ত্রণ, নিরোধ ও মূল উৎপাটন করবে।
১০। বিদেশের সাথে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চুক্তি প্রণয়নের ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণ ঃ
বাংলাদেশ কর্তৃক বিদেশী সংস্থা ও রাষ্ট্রের সাথে যে কোন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চুক্তি প্রণয়নের ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থ ও মর্যাদা সমুন্নত রাখতে হবে, ইতিপূর্বে কৃত যে কোন অসম আন্তার্জাতিক চুক্তি বাতিল করতে হবে।
১১। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আধুনিক সশস্ত্র বাহিনী ঃ
বাংলাদেশের দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। তাই বাংলাদেশে একটি আধুনিক ও শক্তিশালী বিশ্বমানের সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে হবে। শৃঙ্খলা ও সামরিক জ্ঞান অর্জনের জন্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সার্বজনীন ভাবে মিলিশিয়া ট্রেনিং/বি.এন.সি.সি এর ট্রেনিং দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
১২। ছাত্র-জনতার ৫ আগষ্ট তথা জুলাই, ২০২৪ এর মহান বিপ্লব ঃ
৫, আগষ্ট তথা জুলাই, ২০২৪ ইং এর স্বৈরতন্ত্র বিরোধী মহান বিপ্লবের সকল শহীদের, পঙ্গুদের, গুলিবিদ্ধগনের ও গুরুতর আহদের এককালীন ৩০,০০,০০০/- (ত্রিশ লক্ষ) টাকা এবং ১৯৭১ এর মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যায় মাসিক ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা হারে সম্মানী ভাতা প্রদান করতে হবে এবং আহতদের দেশে ও বিদেশে সুচিকিৎসা করতে হবে।
বাংলাদেশ শান্তির দল দেশ ও জণগনকে সকল অপশাসন ও স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত করে প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে দেশে শান্তি, শৃঙ্খলা, উন্নয়ন ও সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশে সত্যের জয় হোক ও মিথ্যার বিদায় হোক। বাংলাদেশ নিরাপদ ও শান্তিময় হোক।

ধন্যবাদান্তে,

(এ্যাডভোকেট সৈয়দ আবদুল্লাহ সহিদ)
চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ শান্তির দল, ঢাকা, বাংলাদেশ
মোবাইলঃ ০১৭১২৫২৮০৪৫।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো জনপ্রিয় সংবাদ সমূহ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত- 2024 এ ওয়েব সাইটে প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Design & Development By Hostitbd.Com